মন্দিরের প্রবেশ গেটে এক হিন্দু নারী শুভেন্দুকে কষিয়ে চড় মারছেন, তার সাথে থাকা আরও ৮-১০ জন নারী তেড়ে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির প্রভাবশালী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মারার জন্য। খানিক পরেই তার গাড়ির পিছনে ধাওয়া করছেন সকলে মিলে, এ সময় আবার মুখে স্লোগান দিচ্ছেন, চোর চোর এই ধর! ধর! মার! মার! যে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে এখন রীতিমতো ভাইরাল। ধর্মের নামে সমগ্র ভারতজুড়ে যে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছেন শুভেন্দু এটি সেটিরই ফল বলে সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যে তাকে নিয়ে ট্রলের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। স্বয়ং ভারতীয় হিন্দুরাই বলছেন তার মত প্রোপাগান্ডা ছড়ানো আর হিন্দু-মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানো রাজনীতিবিদকে ভারত ছাড়া করা উচিত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও প্রসঙ্গে জানা যায়, ঘটনাটি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহাকুমার অন্তর্গত “কালীবাড়ি মন্দির”-এ। ২৬ সালের আগত বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবেই মূলত শুভেন্দু এসেছিলেন এই মন্দিরে। সেখানে মেইন গেটে মন্দিরে ঢোকার মুহুর্তেই ঘটে বিপত্তি। এক হিন্দু নারী তাকে প্রশ্ন করেন, “ভোটের সময় আসলেই কেন মন্দিরে আসেন?। পুরো রাজ্যকে রসাতলে ঠেলে দিয়ে নাটক করতে এসেছেন? মুসলিমদের সাথে আপনার শত্রুতা কিসের? যখন কোরবানীর মাংস খেয়েছিলেন তখন লজ্জা করেনি? আবার তাদের বিরুদ্ধেই কথা বলেন?”
প্রসঙ্গত, এবারের কোরবানীর ঈদের সময় শুভেন্দু অধিকারীকে এক মুসলিমের ঘরে কোরবানির মাংস খেতে দেখা যায়, যে ভিডিওটিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিলো। এদিকে সেই নারীর করা মন্তব্যের পরই মূলত উত্তেজনা বাড়তে থাকে মন্দির চত্বরে। এক পর্যায়ে শুভেন্দুকে ধাক্কা দিতে থাকেন এসব হিন্দু নারীরা। শুভেন্দুর গায়ে হাত তুলতেও দেখা যায় কয়েকজনকে। শেষ পর্যন্ত মন্দিরে ঢোকা তো দূরে কথা চোরের মত লেজ গুটিয়ে গাড়ি নিয়ে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন ভারতের ক্ষমতাসীন দলটির এই প্রভাবশালী নেতা।
গাড়ির পিছনেও বিক্ষুব্ধ ভারতীয় আমজনতাকে ধাওয়া করতে দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে শুভেন্দুর নারীদের হাতে মার খেয়ে পালানোর ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তা নিয়ে ব্যাপক কটাক্ষের শিকার হোন কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী এই নেতা। কনক কর্মকার নামের এক ভারতীয় ফেইসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘শুভেন্দু তোমার দিন শেষ, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাঁধানোর তোমার দিবা-স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না। আজ যেভাবে মার খেয়েছো মহিলাদের হাতে তা মনে রেখো। লজ্জা থাকলে আর মুসলিমদের নিয়ে বাজে কথা বলতে এসো না। ওরা আমাদের ভাই।’
রত্রী ঘোষ নামের আরেক ভারতীয় ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘লজ্জা লজ্জা শেষমেষ কি না নারীদের হাতে কিল-ঘুষি খেলো শুভেন্দু? লজ্জা থাকলে আর আবোল তাবোল কোন কথা বলিও না এরপর। না পোষালে ভারত ছেড়ে চলে যাও, তারপরও হিন্দু-মুসলিম ভ্রতৃত্বের সম্প্রীতি নষ্ট করতে আসিও না। তোমাকে যেখানেই পাওয়া যাবে, এখন আর কোন কথা হবে না, শুধু মার হবে।’
এভাবেই কট্টর হিন্দুত্ববাদী শুভেন্দু অধিকারীর নারীদের হাতে মার খাওয়া নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রলের পাশাপাশি ক্ষোভ ঝাড়ছেন ভারতীয় হিন্দুরাই। তারা বলছেন শুভেন্দু এক ভাইরাসের নাম ওর রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও প্রসঙ্গে জানা যায়, ঘটনাটি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহাকুমার অন্তর্গত “কালীবাড়ি মন্দির”-এ। ২৬ সালের আগত বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবেই মূলত শুভেন্দু এসেছিলেন এই মন্দিরে। সেখানে মেইন গেটে মন্দিরে ঢোকার মুহুর্তেই ঘটে বিপত্তি। এক হিন্দু নারী তাকে প্রশ্ন করেন, “ভোটের সময় আসলেই কেন মন্দিরে আসেন?। পুরো রাজ্যকে রসাতলে ঠেলে দিয়ে নাটক করতে এসেছেন? মুসলিমদের সাথে আপনার শত্রুতা কিসের? যখন কোরবানীর মাংস খেয়েছিলেন তখন লজ্জা করেনি? আবার তাদের বিরুদ্ধেই কথা বলেন?”
প্রসঙ্গত, এবারের কোরবানীর ঈদের সময় শুভেন্দু অধিকারীকে এক মুসলিমের ঘরে কোরবানির মাংস খেতে দেখা যায়, যে ভিডিওটিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিলো। এদিকে সেই নারীর করা মন্তব্যের পরই মূলত উত্তেজনা বাড়তে থাকে মন্দির চত্বরে। এক পর্যায়ে শুভেন্দুকে ধাক্কা দিতে থাকেন এসব হিন্দু নারীরা। শুভেন্দুর গায়ে হাত তুলতেও দেখা যায় কয়েকজনকে। শেষ পর্যন্ত মন্দিরে ঢোকা তো দূরে কথা চোরের মত লেজ গুটিয়ে গাড়ি নিয়ে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন ভারতের ক্ষমতাসীন দলটির এই প্রভাবশালী নেতা।
গাড়ির পিছনেও বিক্ষুব্ধ ভারতীয় আমজনতাকে ধাওয়া করতে দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে শুভেন্দুর নারীদের হাতে মার খেয়ে পালানোর ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তা নিয়ে ব্যাপক কটাক্ষের শিকার হোন কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী এই নেতা। কনক কর্মকার নামের এক ভারতীয় ফেইসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘শুভেন্দু তোমার দিন শেষ, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাঁধানোর তোমার দিবা-স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না। আজ যেভাবে মার খেয়েছো মহিলাদের হাতে তা মনে রেখো। লজ্জা থাকলে আর মুসলিমদের নিয়ে বাজে কথা বলতে এসো না। ওরা আমাদের ভাই।’
রত্রী ঘোষ নামের আরেক ভারতীয় ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘লজ্জা লজ্জা শেষমেষ কি না নারীদের হাতে কিল-ঘুষি খেলো শুভেন্দু? লজ্জা থাকলে আর আবোল তাবোল কোন কথা বলিও না এরপর। না পোষালে ভারত ছেড়ে চলে যাও, তারপরও হিন্দু-মুসলিম ভ্রতৃত্বের সম্প্রীতি নষ্ট করতে আসিও না। তোমাকে যেখানেই পাওয়া যাবে, এখন আর কোন কথা হবে না, শুধু মার হবে।’
এভাবেই কট্টর হিন্দুত্ববাদী শুভেন্দু অধিকারীর নারীদের হাতে মার খাওয়া নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রলের পাশাপাশি ক্ষোভ ঝাড়ছেন ভারতীয় হিন্দুরাই। তারা বলছেন শুভেন্দু এক ভাইরাসের নাম ওর রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।